এবি পার্টির নেতারা বলেছেন, ‘আজকের নির্বাচন হচ্ছে প্রহসন। এ দিনকে কালো দিন ঘোষণা করেছিল এবি পার্টি। আহ্বান করেছিল স্বেচ্ছায় লকডাউন পালন কর্মসূচি করার জন্য। এবি পার্টির আহ্বানে অভূতপূর্ব সাড়া দিয়ে জনগণ ভোট দিতে যায়নি, রাস্তায় বের হয়নি। রাস্তাঘাট ছিল জনশূন্য। কেন্দ্রগুলো ছিল ফাঁকা।’
রবিবার (৭ জানুয়ারি) দলীয় কার্যালয়ে এক তাৎক্ষণিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে দলটির নেতারা এসব কথা বলেন।
এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ‘আজ ভোটকেন্দ্রে রয়েছে সরকারের কর্মকর্তা কর্মচারী ও আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী। ভোটারদের দেখা যাচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে কিছু কুকুর, বানর, ভেড়া ছাগল। জনগণ এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।’
এবি পার্টির আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করে নিজেদের স্বেচ্ছায় লকডাউনে রাখায় জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী।
মেজর অব. মিনার বলেন, ‘আজ কালো দিন। আমরা গতকাল দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছিলাম তারা যেন এই প্রহসনের নির্বাচনে অংশ না নেয়। জনগণ আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে বিমান হামলার সাইরেন বাজালে যেমন মানুষ ঘরে আবদ্ধ থাকে, শুনশান নীরবতা, তেমনি আজ রাস্তাঘাটও জনমানবশূন্য।’
সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘শহীদ ফেলানী দিবসে আজ একটি প্রহসনের একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকেও কাঁটাতারে ঝোলানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে জনগণ এই স্বৈরাচার সরকারের তামাশার নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আমরা দেখলাম ভোটকেন্দ্রে আজ আওয়ামী লীগের বহু লোকও অনুপস্থিত। এক জায়গায় দেখলাম বানরের দল নাচানাচি করছে।’
‘আমরা জনগকে ধন্যবাদ জানাই এই নীরব প্রত্যাখ্যানের জন্য’ বলেন মঞ্জু।