আফগানিস্তান থেকে স্পেনে যাওয়া পাঁচ বাংলাদেশিকে দেশে আনার জন্য যোগাযোগ করেছে স্পেনে বাংলাদেশের দূতাবাস। ওই বাংলাদেশিরা বর্তমানে স্পেনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে মার্কিন সৈন্যদের তত্ত্বাবধানে আছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্পেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ সারওয়ার মাহমুদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাংলাদেশি ও মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। ওই বাংলাদেশিরা বর্তমানে সুস্থ ও নিরাপদ আছেন।‘
পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘একটি বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে তারা স্পেনে এসেছেন এবং তাদের ফেরত যাওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এখন তাদের স্বাস্থ্য ও অন্যান্য বিষয়গুলো পরীক্ষা করার পরে তাদের ফেরত পাঠানো হবে।‘
কবে ফেরত আসতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের দ্রুত ফেরত আনার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।‘
এই পাঁচ বাংলাদেশি আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। গত ১৫ আগস্ট কাবুল পতনের পরে তারা মার্কিন সৈন্যদের সহায়তায় আফগানিস্তান ত্যাগ করেন। তাদেরকে প্রথমে সৌদি আরবের রিয়াদে নেওয়া হলেও পরে স্পেনে পাঠানো হয়।
মইন আল মেজবা
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, মইন আল মেজবা নামে একজন বাংলাদেশি সম্প্রতি আফগানিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হন। বর্তমানে তিনি স্পেনে অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি মইন আল মেজবা বর্তমানে স্পেনে মার্কিন সৈন্যদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন এবং তার বিষয়ে আরও জানার চেষ্টা করছি।’
এর আগে উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গির আলম জানিয়েছিলেন মইন আল মেজবা তার একজন আফগান বন্ধুর সঙ্গে কাবুলে অবস্থান করছেন। অর্থকষ্টে থাকার কথা জানতে পেরে তাকে ভিন্ন একটি উৎসের মাধ্যমে কিছু সাহায্যও দেওয়া হয়েছিলো।
দুই কয়েদি, ছয় তাবলিগ
ওবায়দুল্লা ও কাউসার সুলতানা নামে দুইজন কয়েদি আফগানিস্তানের কারাগারে ছিলেন কিন্তু তালেবান ক্ষমতা দখলের পর তাদের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা যতদূর জানতে পেরেছি কাউসার সুলতানা কাবুলের জেলে এবং ওবায়দুল্লাহ অন্য একটি প্রদেশের জেলে ছিলেন। তারা কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।’
তিনি আরও জানান, ‘পাকিস্তান সীমান্তের কাছে জালালাবাদে অবস্থান করা তাবলিগ জামাতে যাওয়া ছয় বাংলাদেশি সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।‘
তিনি বলেন, ‘গোটা পরিস্থিতি অত্যন্ত ঘোলাটে। কেউ যোগাযোগ না করলে আমাদের পক্ষে খোঁজ পাওয়া অত্যন্ত মুশকিল।’
উল্লেখ্য, আফগানিস্তান থেকে কাতারের দোহায় যাওয়া ছয় বাংলাদেশি গত ৩১ আগস্ট ঢাকায় ফেরেন।